অণ্বেষার লক্ষ্য
শুভ্রা
ঘোষাল
“অণ্বেষা কলকাতা” হল বধির শিশুর মা বাবাদের একটি
প্রতিষ্ঠান যারা বিশ্বাস করে যে , বধির শিশুদেরও অন্যান্য সাধারণ শিশুর মত সমান
অধিকার এবং সমাজের প্রতি সমান দায়িত্ববোধ আছে।
যেটা তারা সুযোগ পেলে অবশ্যই পূর্ণ করতে পারে এবং সমাজকে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে
যেতে পারে ঠিক যেমন অন্যরা পারে। অণ্বেষার মা বাবারা এই কাজে বাচ্চাদের সাহায্য
করার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
বধির শিশুদের সামাজীকরণের প্রধান অন্তরায় হলো তারা ঠিক ভাবে
নিজেদের প্রকাশ করতে পারে না। তারা শুনতে
পায় না বলে তাদের যথাযথ ভাষার বিকাশ হয় না
এবং কথাও বলতে পারে না। ফলে তাদের ভাব
প্রকাশ ব্যাহত হয়। সঠিক বয়সে সঠিক হিয়ারিং
এইড ব্যবহার শুরু করলে এবং বয়োচিত ভাষার যোগান দিলে বাচ্চা অবশ্যই শুনবে, ভাষা
শিখবে এবং ধীরে ধীরে কথা বলবে।
এজন্য একটু বড় বধির শিশুর মা বাবারা যারা এই সমস্যাগুলির
সম্মুখীন হয়েছেন তারা একত্রিত হয়ে একটা
প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন ২০০৪ সালে। যেটা আজকের "অণ্বেষা কলকাতা"। তারা তাদের
অভিজ্ঞতা দিয়ে বধির শিশুর ভাষাবিকাশের কাজটা শুরু করে দেন।
অণ্বেষার ২০১২ সালে আর্লি ইন্টারভেনশন প্রোগ্রামের কাজ চালু
হয়। যেখানে খুব ছোট বাচ্চাদের বাচ্চা
বিকাশের কাজ হয়ে থাকে। এই আর্লি
ইন্টারভেনশন প্রোগ্র্যাম (ই. আই. পি) শুরু হয়েছিল ২ জন শিক্ষিকাকে দিয়ে। এই প্রোগ্রামে জয়েন করার পরে
বাচ্চাদের ভাষা বিকাশের কাজ অনেকটা এগিয়ে গেছে।
তারা অনেক বেশি সামাজিক হয়ে উঠেছে।
এই প্রোগ্রাম শেষ হওয়ার পর বাচ্চা যখন সাধারণ স্কুলে ভর্তি হয় তখন তারা অন্যান্য
বাচ্চাদের তুলনায় অনেকটা বেশি এগিয়ে থাকে। তারা অনেক বেশি সামাজিক হয়ে থাকে।
অণ্বেষা ধীরে ধীরে আর ও বেশি
সম্প্রসারিত হচ্ছে। শিক্ষকের সংখ্যা বাড়ছে। যার ফলে অনেক বেশি সংখ্যক বাচ্চা ই. আই.
পি -র মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে। এই ভাবে অন্বেষা এগিয়ে চলেছে। ভবিষ্যতে অনেকদূর যেতে হবে। তার জন্যে আরও সুসংগঠিত ভাবে কাজ করে তার নির্দিষ্ট
লক্ষ্য পূরণের পথে এগিয়ে যেতে হবে।
সূত্র : অন্বেষণ ২০১৫
বার্ষিক জন সচেতনা প্রোগ্রাম স্যুভেনির থেকে সঙ্কলিত
No comments:
Post a Comment